বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলার ১৯ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের পালটাপালটি ধাওয়া, বাস এবং টার্মিনাল ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছে রুপাতলী বাস টার্মিনালের শ্রমিকরা। ফলে বরিশালে বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠি মালিক সমিতির বাসে হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে হেলপারের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা হয় বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীর। পরে কলেজ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার করার অভিযোগে সন্ধ্যায় রুপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এসময় পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসসহ বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। দূর-দুরান্তের অনেক যাত্রীকে টার্মিনালে এসে বসে থাকতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার ভ্যান কিংবা থ্রি হুইলারযোগে চেষ্টা করছেন গন্তব্যে পৌঁছাতে।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তার অভাবে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। তারাই ভাল বলতে পারবে যে কবে নাগাদ কাজে যোগ দেবে।এদিকে হাফ ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।