কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে মোটা অংকের শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে চালু হবে এই শুল্ক। এবার এ নিয়ে টিটকারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ ভিন্ন দুটি পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। দেশগুলোর উপর আরোপিত শুল্ক নিয়ে তিনি লিখেছেন, একটু কষ্ট হবে হয়তো। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলব এবং এর মূল্য দিতে হবে। আমরা এমন একটি দেশ যা এখন সাধারণ জ্ঞান (কমন সেন্স) দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর ফলাফল হবে চমকপ্রদ!!
একই পোস্টে ট্রাম্প দাবি করে বলেন, এবার হবে আমেরিকার স্বর্ণযুগ।
আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আমরা কোনো কারণ ছাড়াই কানাডাকে শত শত বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেই। তাদের কাছ থেকে আমাদের কোনোকিছুই দরকার নেই।
আমাদের সীমাহীন এনার্জি আছে। আমাদের নিজস্ব গাড়ি তৈরি করা উচিত। তিতা হলেও সত্য যে কানাডাকে আমাদের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা উচিত।ট্রাম্প বলেন, অঙ্গরাজ্য হলে তাদের আর এতো শুল্প দিতে হবে না।
মঙ্গলবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কানাডা থেকে আসা জ্বালানি ও এ সংক্রান্ত উপকরণে শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে।
অপরদিকে, চীনে থেকে আমদানি করা সব পণ্যে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে ট্রাম্প তার প্রথম শাসনামলে চীনের পণ্যে বড় আকারে শুল্ক বসিয়েছিলেন, যা বাইডেন প্রশাসন অব্যাহত রেখেছিল। এই শুল্কের সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক।তবে নির্বাচনী প্রচারণার সময় চীনের আমদানিতে ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট নামের একটি আইনের আশ্রয় নিয়ে এই শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প।হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও মাদক থেকে তৈরি হওয়া নজিরবিহীন হুমকি জাতীয় জরুরি অবস্থার সমতুল্য।