পর্যটন শহর রাঙামাটিতে দীর্ঘদিন ধরে অযতেœ পড়ে থাকা চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মেধাবি ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে নির্মিত হতে যাওয়া এই স্কুল এন্ড কলেজটির নির্মাণে প্রাথমিকভাবে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এই রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজটি আবাসিক প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক পরিচালনা করবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। রোববার সকালে এ স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
উক্ত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার এরশাদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল আলীম, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, এ এলাকাটা এত ড্রাই করে রেখেছে। আমাদের বিনোদনের অনেক এলাকা আছে। এখানে বিকেএসপি আসবেই। বিকেএসপি নিয়ে আমি কাজ করছি। অগ্রিম বলা হচ্ছে কিনা আমি জানি না।
আমাদের এখানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন লেভেলের স্কুল আছে ওই টাইপের স্কুল দরকার। একটি ছেলেদের জন্য একটি মেয়েদের জন্য এপ্রোজ করবো। আমাদের আরও স্কুল দরকার। এই রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে আমার ফাস্ট এজেন্ডা হচ্ছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’।
আমি যখন পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলাম তখনো বলেছিলাম কোয়ালিটি এডুকেশন ইজ ভেরি এসেনসিয়াল। আমাদের এখানে নটরডেম কলেজ নাই, ভিকারুননিসা কলেজ নাই, ঢাকা কলেজ নাই। ইউনিভার্সিটি একটা দিয়েছে ভাল সেটা। কিন্তু তারপরও বেসিক ফাউন্ডেশনটা হওয়া দরকার।
এ কারণে এ স্কুলটি করতে চাই। বলবো সেটা যদি সম্ভব হয় ইংলিশ কারিকুলাম নট ইংলিশ মিডিয়াম। বাংলা বাদে সব অন্যান্য সাবজেক্ট যেন ইংলিশে পড়ানো হয় এবং তারা যেন কমপেটিভিট হয়।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০০ সালে রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি সুখীনীল গঞ্জে নির্মাণ করা হয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিরিয়াখানা। প্রাণী লালন-পালনসহ চিকিৎসায় দক্ষ জনবল না থাকায় শুরু থেকে চিড়িয়াখানাটির প্রাণীগুলো মারা পড়ে আসছিল।
চলতি মাসের ০৪ ফেব্রুয়ারী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় এসে স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় একটি মুমুর্ষ ভাল্লুকসহ ১৯টি প্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যায়।