জলাশয় ভরাটে বিলুপ্ত প্রায় শাপলা

তাসিন

জাতীয় ফুল হিসেবে পরিচিত শাপলা। কালের বিবর্তণে এর সৌন্দর্য এখন তেমন চোখে পড়ে না। খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয় ভরাটের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। এক সময় বর্ষা মৌসুমে পুকুর, ডুবায়, জলাশয়,নদী- খাল-বিলসহ আনাচে কানাচে দেখা যেতো শাপলা ফুল। যা গ্রামকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরিয়ে রাখত।

আরও পড়ুন : মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় দ্বীপের মাটি!

শাপলা ফুল অনেক রঙের হলেও কেবল সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের পয়সা, টাকা, দলিলপত্রে জাতীয় ফুল শাপলা বা এর জলছাপ আঁকা থাকে।

বতর্মানে নিচু জমিগুলোতে ধান চাষ ও পুকুর-জলাশয়গুলো পরিষ্কার করে জালের ঘেড়া দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। যার ফলে শাপলা ফুল জন্মানোর ক্ষেত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : কোরআনের ক্যালিগ্রাফি করে তরুণীর চমক

বর্তমানে শাপলার ডাঁটা বা ড্যাব খাওয়া তো দূরের কথা শাপলা এখন ডুমুরের ফুল। বর্তমানে নতুন প্রজন্মরা এই ফুলের বিষয়ে জানতে পারে পাঠ্যবইয়ের মধ্যে। পাঠ্যবইয়ে জাতীয় ফুল শাপলার ব্যাপারে নানাভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ শাপলা ফুল নতুন প্রজন্মরা এখন দেখতে পায় না। সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। শুধু পাঠ্যবইয়ে জাতীয় ফুল শাপলার বর্ণনা শুনবো। তাই ফুলটি সংরক্ষণের প্রয়োজন।

প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে শাপলা। থাইল্যান্ড ও মায়ানমারে এই ফুল পুকুর ও বাগান সাজাতে খুব জনপ্রিয়। সাদা শাপলা বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইয়েমেন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার প্রভৃতি দেশের পুকুর ও হ্রদে দেখা যায়। এই ফুল পাপুয়া নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু এলাকায়ও দেখা যায়। এই ফুল যেমন দেখা যায় চাষের জমিতে, তেমনই হয় বন্য এলাকায়। কাটা ধান ক্ষেতের জমে থাকা অল্প পানিতে এই ফুল ফুটে থাকতে দেখা যায়। বিশ্বে এই উদ্ভিদের প্রায় ৩৫টি প্রজাতি পাওয়া গেছে।

ইবাংলা /এইচ /১৩ নভেম্বর, ২০২১

Comments (0)
Add Comment