জুলাই আন্দোলনে আহতরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ২৬ ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন, এবং তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম হলো উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন, আর্থিক সহায়তা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তারা আরও জানিয়েছে যে, অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন তাদের সংখ্যা মাঝে মাঝে কমে গেছে, কিন্তু দাবি আদায়ে অন্যান্য জেলা থেকে আহতরা আসছেন এবং যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন…গাজায় সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৭ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার
এই আন্দোলনটি কিছুদিন আগে পঙ্গু হাসপাতালে, আগারগাঁও এলাকায় শুরু হয়েছিল, এবং তখনও চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আন্দোলন হয়। আন্দোলনের জন্য আহতরা নানা জায়গায় প্রতিবাদ করেছেন, এবং তাদের দাবির বিষয়ে সরকার থেকে আশ্বাসও পেয়ে থাকেন।
এখানে আন্দোলনকারীরা মূলত এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে, যদিও পূর্বে তারা কয়েকটি দাবির কথা জানিয়েছিলেন। তারা গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে এখানে অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রধান ফটক ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন আন্দোলনকারী অবস্থান করছেন গেটের সামনে। পুলিশ ও কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা তাদের ঘিরে আছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, রাতে এখানে তারা খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেছেন। সকালে অনেকে আশপাশে কোথাও গিয়েছেন। ফলে এখন মানুষের সংখ্যা কম। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জুলাই আহতরা রওনা হয়েছেন। দাবি আদায়ে তারাও দুপুর-বিকাল নাগাদ যোগ দেবেন।
শুরুতে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে আসলেও পরে তারা এক দফা দাবিতে অনড়।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্রথম ‘উন্নত চিকিৎসার’ দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভ করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আহত কয়েক শ’ ব্যক্তি। সেদিন রাত ৩টার দিকে সরকারের চার উপদেষ্টার আশ্বাসে প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর তারা সড়ক ছেড়ে হাসপাতালে ফিরে যান।
পরে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার থেকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে সামনে আবারও বিক্ষোভে নামেন আহতরা। সেসময় তারা সুচিকিৎসার পাশাপাশি ‘পুনর্বাসন, আর্থিক সহায়তা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’রও দাবি তোলেন। সেদিন সেখানে সারা রাত আন্দোলন করার পর ২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে আগারগাঁও ও শ্যামলী মিরপুর রোড সড়ক অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর সড়ক ছেড়ে বিক্ষোভরত আহত ব্যক্তিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর আশ্বাসে রাত পৌনে ২টার দিকে তারা যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ ছেড়ে হাসপাতালে ফিরে যান আন্দোলনে আহতরা।
ইবাংলা/ বাএ