জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করে আদালত। তবে দুদকের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করে আদালত। এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর এই মামলায় ৭ বছরের দণ্ড থেকে তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের ঘটনাটি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলাটি ২০১০ সালে দায়ের করা হয়েছিল এবং এতে খালেদা জিয়াকে ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মামলাটি জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং এটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক বিরোধের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আরও পড়ুন…যুদ্ধবিরতির মাঝেই ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

অভিযোগ: অভিযোগ ছিল যে, খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির অন্যান্য নেতারা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ২০০১ সালে এই ট্রাস্টটি প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তার পরবর্তী সময়ে ট্রাস্টের অর্থ অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগ ওঠে। খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, এবং কিছু বিএনপি নেতা এই মামলার আসামি ছিলেন।

মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন ছিল এবং বিভিন্ন আদালতে শুনানি হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩ মার্চ আদালত অবশেষে খালেদা জিয়াকে এই মামলায় খালাস দেন। আদালত তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার খালাসের পর, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিএনপি এটি একটি বিজয় হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যায়ের অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকেও এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এটি দেশের রাজনীতিতে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি আরো কোনো দিক জানতে চান, যেমন মামলার আইনি বিবরণ বা এর পেছনের রাজনৈতিক ইতিহাস, আমাকে জানাতে পারেন।

ইবাংলা বাএ

খালাসখালেদাজিয়াপেলেনমামলায়