সাধারণত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আট ঘণ্টা ঘুমই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তাঁরা বিশেষ করে বলেন, সুনির্দিষ্ট ঘুম ভাল রাখে হৃদযন্ত্রকেও।
ডাক্তারেরা বলে থাকেন, মদ্য পান করে বা স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমের অভ্যেস খুবই খারাপ। কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রায় ভোগেন বা রাতের দিকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় তা হলে তাঁদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভাল করে ঘুমোতে হবে। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে। শারীরিক ও মানসিক স্ট্রেস কমায়।
ব্রিটেনের একটি পত্রিকা ঘুম নিয়েই একটা সমীক্ষা করেছে। তারা জানাচ্ছে, ঘুমের প্যাটার্ন বদলে সুস্থ থাকা যায়। সেখানে প্রথমেই থাকছে ঘুমের সময় নিয়ে পরামর্শ। সমীক্ষা বলছে, রাত ১০টা থেকে ১১টা’র মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া উচিত।
‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে’ প্রকাশিত এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৮৮,০০০ জন, যাঁদের গড় বয়স ৪৩ থেকে ৭৯ বছর। এই সমীক্ষা স্পষ্ট করে বলছে, রাত ১০টা-১১টার মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ঘুমোতে যান তাঁদের চেয়ে যাঁরা রাত ১০টার আগে বা রাত ১১টার পরে সাধারণত যাঁরা ঘুমোন তাঁদের হার্টের সমস্যার প্রবণতা বেশি থাকে।
এমনিতেই ঘুম কম হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাইপারটেনশন ইত্যাদি দেখা দেয়। এর উপর ঘুমের সময়ের বৈপরীত্যও শরীরকে অনর্থক সঙ্কটে ফেলে দেয়। আমাদের বডি ক্লক গভীর রাতের পরের ঘুমে বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: শরীরে ভাঁজে কালো দাগ, ক্যানসারের ঝুঁকি
কার্ডিওভাসকুলার হেল্থ খারাপ হয়। তবে ঘুমের এই সময় নিয়ে আরও রিসার্চ জরুরি বলে মনে করে সমীক্ষার প্রধানেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামি দিনে এ সংক্রান্ত আরও গবেষণা হবে।