মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারের দুই দিন আগে দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা খালিল আল হায়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।রোববার (৩০ মার্চ) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) হামাস গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা খালিল আল হায়া টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, দুদিন আগে, আমরা মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা এটি ইতিবাচকভাবে দেখছি এবং এটি গ্রহণ করেছি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মিশর ইসরায়েলের কাছ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে, যার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পর্যায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রস্তাবটিতে হামাসকে প্রতি সপ্তাহে তাদের হাতে থাকা পাঁচজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব অনুসারে তারা একাধিক আলোচনা করেছে এবং ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয় করে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি পাল্টা প্রস্তাব পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবি
রয়টার্স প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল যে, তারা কি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে কিনা, কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উত্তর দেয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়া ও দক্ষিণের খান ইউনিসে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এছাড়া, রাফায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস।
এদিকে, পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তার জিনবা শহরে অভিযান চালিয়ে সম্পত্তি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাম্মুন শহরে এক বাড়ি ঘিরে ফেলার খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অন্যদিকে, ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, খান ইউনিসে তাদের দিকে মর্টার হামলা চালানো হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।