পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩৪ জন ইটভাটা মালিক কর্তৃক দায়েরকৃত দুটি রিট পিটিশনের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২৩ এপ্রিল বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের আদালতে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, বিগত ২০২২ সালে ৩৪ জন ইটভাটা মালিক কর্তৃক দুটি রিট পিটিশন ৯৬০৬/২০২২ ও ১৩১৯১/২০২২ দায়ের করা হয় এবং উক্ত রিট পিটিশনের উপর শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
পরবর্তীতে স্থগিতাদেশর আদেশের আবেদন আদালত কর্তৃক মঞ্জুর হয়নি। প্রায় এক বছর পরে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি নাইমা হায়দারের আদালত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।
পূর্বে এই একই বিষয় নিয়ে কতিপয় ইট ভাটা মালিকদের অপর একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে বিচারপতি ফারাম মাহবুবের আদালতে রুল খারিজ করা হয়।
উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ইট ভাটা মালিকগণ আপিল বিভাগ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল ৭৬২ ও ৭৫৮/২০২৩ দায়ের করা হলে বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি করা হয়।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগ আপিল শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন, কিন্তু কোন স্থগিতাদেশ প্রদান করেননি। আপিল মামলা নিষ্পত্তিক হবার পূর্বেই, ইটভাটা মালিকগণ ২০২২ সালে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করে বিচারপতি নাইমা হায়দারের আদালত হতে বিগত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন…হঠাৎ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
যেহেতু আপিল বিভাগ একই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন তবুও ইট ভাটা মালিকগণ আদালত হতে বিভিন্ন আদেশ নিয়ে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে। সে প্রেক্ষিতি, রিট পিটিশন দুটিতে HRPB পক্ষোভুক্তির আবেদন করলে আদালত পক্ষভূক্তির আবেদন মঞ্জুর করে।
২৩ এপ্রিল বুধবার HRPB এর পক্ষে স্থগিতাদেশ বাতিলের একটি আবেদন করা হলে, বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের আদালতে আবেদনটি উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর স্থগিতাদেশ বাতিল করেন।
আবেদনকারী পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের উপরে প্রতিনিয়ত মামলা দায়ের করা হয় এবং আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে ইট ভাটা মালিকগণ অবৈধভাবে পার্বত্য অঞ্চলে ইটভাটার পরিচালনা করে আসছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ ইটভাটা মালিকের ইটভাটা পরিচালনার লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে। যাতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মোঃ শফিকুর রহমান।