২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকেও গত ১০ নভেম্বর ৮৪ দশমিক ৫০ ডলারে নেমে আসে। তবে বিশেষ করে গত ৪ দিনের ব্যবধানে তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৪ ডলারের মতো কমে রোববার ৮০ দশমিক ৬৯ ডলারে নেমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আর এ খবরে গত সপ্তাহের উত্তাল জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছরের (২০২১) জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম ছিল গড়ে প্রতি ব্যারেল ৪৯ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩ ডলার, মার্চে ৬০, এপ্রিলে ৬৫, মে মাসে ৬৪, জুনে ৬৬ ডলার, জুলাইয়ে ৭৩ ডলার এবং আগস্টে গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৪ ডলার। কিন্তু অক্টোবর মাসে এই দাম ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে গেলেও নভেম্বর থেকে কমতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে বাংলাদেশে গত ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর পবিবহন মালিকদের আন্দোলনে বাসের ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়। যার প্রভাব সবজি থেকে শুরু করে পণ্যের ওপরও পড়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছিল।
ইবাংলা /টিআর /১৫ নভেম্বর ২০২১