কোনো সুযোগ নেই আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার: সিইসি

ইবাংলা ডেস্ক

এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।সোমবার (৫ মে) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, আমরা সারাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার জন্য শপথ করিয়েছি। রমজানের প্রথম দিনে তারা হাত তুলে শপথ করেছেন যে কারো দ্বারা তারা প্রভাবিত হবেন না।

সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আইন-কানুন মেনে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। অতীতে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমাদের কর্মকর্তারা সে লক্ষ্যেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ইয়িনি বলেন, এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আঠারো কোটি মানুষের দায় নিয়ে আমি মরতে চাই না। যা করবো সহি নিয়তে, সঠিকভাবে আইন-কানুন মেনে করবো। বিবেকের দায় নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং করবো, ইনশাল্লাহ।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এএমএম নাসির উদ্দীন বলেন, যেটা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক চলে, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে রাজনীতি পরিহার করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য অনেকেই আমাদের উপর মন খারাপ করেছে।

আরও পড়ুন…স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা প্রধান উপদেষ্টার কাছে

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো আমরা মানছি না বলে অনেকেই আমাদের দায়ী করছেন। যে সমস্ত সুপারিশের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে, সেগুলো আমরা সতর্কভাবে পরিহার করছি। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না নির্বাচন কমিশন। যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের সকল সদস্য মিলে নেওয়া হয়। একক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।

এসময় ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশনা পালন করে গেজেট প্রকাশ করেছে। আদালত দশ দিনের ভেতরে গেজেট প্রকাশ করতে বলেছিল; আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে দশম দিনের মধ্যে আমরা তা করেছি।

ইবাংলা বাএ

আরদিনেরভোটরাতেহওয়ার