যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে ভারতের হামলা নিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে দুই শিশুসহ অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় তিনি বলেছেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি যে, আমরা আশা করি এ উত্তেজনা দ্রুত শেষ হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষের নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা দ্রুত হ্রাস পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান অনেক দিন ধরে লড়াই করে আসছে। আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের মূল্য বিশ্ব বহন করতে পারবে না। কারণ ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে, চলছে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ। এমন সময়ে আরেকটি যুদ্ধ দেখতে চায় না বিশ্ববাসী।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এরইমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন…পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, সীমান্ত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

অন্যদিকে, ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের চালানো হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল এবং রাশিয়ান তৈরি একটি করে এসইউ-৩০ ও মিগ-২৯।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপায় ইসলামাবাদের ঘাড়ে।

দুই দেশ থেকে নেওয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপও।পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালালো ভারত।
ইবাংলা বাএ

পররাষ্ট্রমন্ত্রীপাকিস্তানেভারতেরহামলা