অভিনয়ে অনবদ্য কঙ্গনা রানাউত সমান ভাবে আলোচিত তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য। কিছুদিন আগে ভারতের স্বাধীনতাকে ‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন এ অভিনেত্রী।
দেশকে নিয়ে এমন হীন মন্তব্যকারী কি করে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্মাননা অর্জন করতে পারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেক রাজনৈতিক নেতারা কঙ্গনাকে দেয়া পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন।
আরো পড়ুন:দীপাবলিতেই আংটি বদল ক্যাটরিনা-ভিকির !
অভিনেত্রীর এ মন্তব্যের বিরোধিতা করে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। চিঠিতে তিনি কঙ্গনার পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান।
কঙ্গনার এই মন্তব্য কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় দাবি করে চিঠিতে স্বাতী লেখেন,
অভিনেত্রী এমন বিতর্কিত মন্তব্য করতেই থাকেন। যাঁদের সঙ্গে কঙ্গনার মতবিরোধ হয় তাঁদের বিরুদ্ধেও আক্রমণাত্মক কথা বলতে থাকেন।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিংয়ের মতো বিপ্লবীদের অসম্মান করেছেন কঙ্গনা, এমনটাই অভিযোগ স্বাতী মালিওয়ালের। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রহীতা মামলার পক্ষেও মত দেন তিনি ।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা।
তার বক্তব্যের সমালোচনার পরই ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লেখেন, ‘ওই সাক্ষাৎকারেই কিন্তু সব কিছু পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছিল। ১৮৫৭ সালের কথা আমি জানি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন যুদ্ধ হয়েছিল, তা আমি জানি না। যদি কেউ তা আমার নজরে আনতে পারেন তাহলে আমি আমার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেব। ক্ষমাও চাইব। দয়া করে আমাকে এবিষয়ে সাহায্য করুন।’
ইবাংলা/ টিপি/১৫ নভেম্বর, ২০২১