নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আন্দোলনের প্রথম দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
এনসিপির এ আন্দোলন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা । জবাবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এতে অন্যান্য চার কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির আন্দোলন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।নির্বাচনের সিকোয়েন্স-কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে, তা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। আমাদের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
আরও পড়ুন…প্রকাশ্যে ঘুরছেন শেখ হাসিনা চেন্নাইয়ের রাস্তায়
এ সময় কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর আমরা মন্তব্য করি না। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং আগামীতেও করবে।
এরপর ইশরাক হোসেনের শপথ ইস্যুতে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ৫০, সিটি করপোরেশন আইনের ৫৪ ধারা, পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের বিধির সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোতে বলা হয়েছে, কোন পক্ষগুলোকে নির্বাচন সংক্রান্ত দরখাস্তে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
এসব আইনে নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার কোনো বিধান নেই। কিন্তু আমাদের দেশে যেটা হয়ে থাকে, যদি কেউ দরখাস্ত করে থাকেন, নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ বানান।
স্বাধীনতার পর থেকে কমিশনের কোনো ফাইলে এমন নজির পাওয়া যায়নি যে, ইসি স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছে বা আপিল করেছে। আইন অনুযায়ী, আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার বা আপিল করার সুযোগ নেই।