পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডিআরইউতে সন্ত্রাসী জাকির গংদের হামলা, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেক

পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, ও লাঠিসোটা নিয়ে রাতের আঁধারে অতর্কিতভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হামলা চালিয়েছে দখলবাজ আওয়ামী দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা। হামলায় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। হামলার এক পর্যায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন…শেখ হাসিনা দোসর কিবরিয়া দম্পতি এনআরবি ইসলামী লাইফের শীর্ষ পদে বহাল

বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ করে এই হামলা চালানো হয়। ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান টি স্টল নামে একটি দোকানের মালামাল তারা লুট করে নিয়ে যায়। ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ দোকানটি গায়েব করে দেয় জাকির হোসেন গং।

দোকান লুটের বিষয়ে ডিআরইউ-এর সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমান জানতে চাইলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার উপর আক্রমণ চালানো হয় বলে প্রতিবেদককে জানান।

ডিআরইউ-এর সভাপতি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সদস্যদের শরীরে হাত তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআরইউ-এর সভাপতির শরীরে হাত তোলা হয়। শুধু সভাপতি নয় এতে বেশ কিছু সাংবাদিক নেতা-সদস্য আহত হয়েছেন। জাকির ও জাকিরের স্ত্রী, কণ্যা, ভাগনেসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন বলেন, আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী জাকির গংদের বিরুদ্বে আমরা বৃহস্পতিবার (২২ মে) ডিআরইউর পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা করবো।

হামলা প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি বলেন, জাকিরের অনুসারীরা হঠাৎ করেই আমাদের উপর হামলা করেছে। এর আগে একটা দোকান লুট করে নেয়া হয়েছে। গরিব মানুষের একটা দোকান যেটা লুট করা কাম্য হয়নি। সদস্যদের উপরে হামলা চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে ডিআরইউ-এর সদস্যদের উপরে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। রাতের আধারে কাপুরোষিত এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাই। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার আমরা মামলা করব। জাকির গংরা গত ১৬ বছর সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষের উপরে নির্যাতন ও রামরাজত্ব কায়েম করেছে।

ভুক্তভোগী আজিমের স্ত্রী জানান, জাকিরের লোকজন আমাদের দোকানের ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে এবং দোকান ভাংচুর করে তুলে নিয়ে গেছে। পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে অনেক জনকে আহত করেছে। জাকির আমার জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছে। সেখানে তারা মাদক ব্যবসা করে। আমি এর বিচার চাই।

ইবাংলা/ বাএ