মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন প্রশিকার

রাশেদ রনি

বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান “প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র”র বিরুদ্ধে মাছরাঙা টেলিভিশনের ক্রাইম প্রোগ্রাম “উন্মোচন” এ প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। সোমবার (০২ জুন) রাজধানীর মিরপুরে প্রশিকার প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনের সামনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত প্রশিকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

আরও পড়ুন…মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল: হাইকোর্ট

মানববন্ধনে প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের ক্রাইম প্রোগ্রাম উন্মোচন প্রশিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার করেছে। এমন অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে হবে এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের ক্রাইম প্রোগ্রাম “উন্মোচন” কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক মাজহার মিলনকে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।

মানব বন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের ক্রাইম প্রোগ্রাম ‘উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে যেসব কথিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবেদনে এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে- যারা নিজেরাই প্রশিকা থেকে অর্থ আত্মসাৎ, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে বহিষ্কৃত। উল্লেখযোগ্যভাবে, কাজী ফারুক আহম্মদ, রাশেদা খানম, আবু সাঈদ ও ইব্রাহিম খলিলরা প্রত্যেকেই বর্তমানে প্রশিকার বাইরে এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে।

আরও বলেন, সংবাদে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, হরিরামপুরের সদস্য রহিমা বেগমের টাকা নাকি প্রশিকা ফেরত দেয়নি—তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ওই সদস্যকে দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল বহিষ্কৃত কর্মী ইব্রাহিম খলিল ও রাশেদা খানমের দ্বারা, যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এসেছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছেন।

প্রশিকার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, হরিরামপুর অফিস নিয়মিতভাবে সদস্যদের অর্থ ফেরত দিয়ে থাকে এবং রহিমা বেগম কখনোই সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করেননি। সুতরাং, মাছরাঙার প্রতিবেদন প্রশিকার বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। সাংবাদিক মাজহার মিলন কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই শুধুমাত্র বরখাস্তকৃত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বক্তব্যের ভিত্তিতে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, যা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী।

এছাড়া জমি বিক্রির প্রসঙ্গে মাছরাঙার প্রতিবেদনে যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলোও সঠিক নয়। প্রশিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় ও বাজারদরে জমি হস্তান্তর করেছে। সাংবাদিক কর্তৃক প্রদত্ত দলিল ছিল অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যে করা একটি পৃথক দলিল, যা বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়।

প্রশিকার পক্ষ থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকে এবং ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চর্চা করে। একই সঙ্গে, প্রশিকার সম্মানহানি ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়।

ইবাংলা বাএ

ও মানববন্ধনপ্রতিবাদপ্রশিকারসংবাদের