ইসরায়েলের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ইরান নতুন করে শাস্তিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। প্রতিশোধমূলক এই অভিযান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩’ নামে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)।
আরও পড়ুন…‘ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর অবৈধ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ানো উচিত নয়’ : মার্কিন সিনেটর
ইরান শনিবার গভীর রাতে নতুন রাউন্ডে তেল আবিব, হাইফা, যেরুশালেমসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে অন্তত ৮–৯ জন ইসরাইলি প্রাণ হারিয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে । তেল আবিব ও হাইফার আকাশে আলোর রেখা ও বাতাসে বিস্ফোরণের শব্দ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ জুন) গভীর রাতে এই হামলা শুরু হয়। আইআরজিসি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েলি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।
হামলার ফলে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে এবং বাসিন্দাদের বোমা হামলার আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে তেল আবিব ও হাইফার আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের আলো এবং বিস্ফোরণের শব্দ ধরা পড়ে। বহু ইসরায়েলির আতঙ্কিত চিৎকার স্পষ্টভাবে শোনা যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, হাইফার একটি তেল শোধনাগার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং আঘাতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, ইসরায়েল শনিবার ভোরে ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর পাল্টা হামলা চালায়।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর দেওয়া এক দ্বিতীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইআরজিসি জানায়, ইসরায়েলের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে ইরানের হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি তেল ডিপোতে ইসরায়েলের হামলার ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ ইরানেও একটি জ্বালানি ট্যাঙ্ক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
আইআরজিসি আরও দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অন্তত তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১০টি ড্রোন ও ডজনখানেক কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে ইরানের শাস্তিমূলক হামলায় তেল আবিব ও জেরুজালেমে বড় ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটে, যা বর্তমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইবাংলা/ বা এ