তেহরান ভিত্তিক তাসনিম নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায় তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম ও রেহোভট শহরগুলোকে টার্গেট করে চালানো এই হামলাগুলোতে ইসরায়েলি গণমাধ্যম ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন…কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইরান!
কিছু সংবাদমাধ্যমে হামলায় ৯ জন নিহত ও ২০৭ জন আহত হওয়ার কথা বলা হলেও, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, আহতের সংখ্যা ২৪০ জন, এবং আরও কয়েক ডজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ইরানের দ্বিতীয় দফার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় ২০০ জনেরও বেশি ইহুদি নিহত ও আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
বাত ইয়াম শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে কয়েক ডজন ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়াও রেহোভট শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গবেষণা কেন্দ্র ইরানের টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তেল আবিবের দক্ষিণে বিস্ফোরণ ও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসরায়েলি মিডিয়া এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণকে “ব্যাপক” বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, ইরানের আইআরজিসি (IRGC) ঘোষণা করেছে যে, এই অভিযান “ট্রু প্রমিজ-৩” নামে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের মতে, এটি ইহুদিবাদী সরকারের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের “সরাসরি জবাব”।
আইআরজিসি-এর মহাকাশ বিভাগ থেকে পরিচালিত এই অভিযানে ৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের তেল শোধনাগার, বিদ্যুৎ গ্রিডসহ সামরিক ও শিল্প স্থাপনাগুলো।
ইবাংলা/ বাএ