ইচ্ছা থাকলে উপায়। ইচ্ছাশক্তি প্রবল হলে কার্যে সফলতা সুনিশ্চিত। ইচ্ছাশক্তির বলেই বয়স যে শুধু সংখ্যা সেটি প্রমাণ করে দিলেন ১০৪ বছরের কুট্টিয়াম্মা। এই বয়সেই তিনি লেখা শিখলেন। পাস করলেন সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষায়। যে বয়সে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে যান বেশির ভাগ মানুষ, সে বয়সে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন কুট্টিয়াম্মা। তিনি ভারতের কেরালার কোট্টায়াম জেলার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮’র প্রতিবেদনে জানা যায়, ১০৪ বছর বয়সী কুট্টিয়াম্মা স্কুলের গণ্ডিই পার করেননি ছোটবেলায়। তবে তিনি পড়তে জানতেন। কিন্তু লিখতে পারতেন না। তাই সাক্ষরতা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়েই প্রথমে কাগজ-কলমের সাথে পরিচিত হন এই বয়সে। ধীরে ধীরে লিখতে শেখেন। কুট্টিয়াম্মার বাড়িতে সকাল ও সন্ধ্যার শিফটে ক্লাস হতো।
এরপর সম্প্রতি কোট্টায়ামের আয়রাকুন্নান পঞ্চায়েতের তরফে সাক্ষরতা পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। সেই পরীক্ষাতেই বসেন তিনি। তাতে শুধু যে পাসই করেছেন তা নয়, রেকর্ড নম্বরও পেয়েছেন। ১০০’র মধ্যে পেয়েছেন ৮৯!
কুট্টিয়াম্মাকে অভিনন্দন জানিয়ে কেরালার শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবাকুট্টি টুইট করেন, কোট্টায়ামের ১০৪ বছর বয়সী কুট্টিয়াম্মা কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষায় ১০০’র মধ্যে ৮৯ নম্বর পেয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন লেখা-পড়ার কোনো বয়স হয় না। শ্রদ্ধা ও আন্তরিক ভালোবাসার সঙ্গে আমি তাকে এবং অন্যান্য নতুন শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানাই।
ইবাংলা/ এইচ/ ১৬ নভেম্বর,২০২১