সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের চানপুর, রজনী লাইন, রাজাই এলাকায় (ভারতীয় অংশে) সম্প্রতি হঠাৎ করে ভারতীয় বন্যাহাতির উৎপাত দেখা দিয়েছে। গত দুইদিন ধরে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের দেড় কিলোমিটার ভিতরে তিনটি বন্যহাতি বড়গোফ টিলা (বারেকটিলার) মধ্যে অবস্থান করছে।
বুধবার ভোর রাতে হাতিগুলো যাদুকাটা নদীর তীর ঘেষে বারেক টিলায় অবস্থান নেয়। তবে বন্য হাতিগুলো বারেকটিলার নিচে সীমান্ত রেখার তার কাটার কাছে বাংলাদেশের অংশে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ
এদিকে ভারতের ওপারে কালাপাহাড়ের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দল বেধে বন্যহাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। এপারের সীমান্ত এলাকায় নেমে এসব হাতি তাণ্ডব শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন। এতে সীমান্তের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বারেক টিলার আরজ আলী ও মহিবুর নামে দুইজন জানান, বারেকটিলার নিচে এসে হাতিগুলো কৃষক আরশাদ ফকিরের আলুক্ষেত ও সামছু মিয়ার আমন ধানের জমির সামান্য ক্ষতি করেছে এবং বন্য হাতি দেখতে গিয়ে মাহারাম গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম কিছুটা আহত হয়েছেন।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হাতিগুলো বড়গোফ টিলায় অবস্থান করছে। তবে হাতিগুলো এখনও বড় কোন ক্ষতি করেনি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তাহিরপুর থানারওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, বারেকটিলায় দুইটি বড় ও একটি ছোট হাতি সীমান্তের তার কাটার কাছে অবস্থান করছে । পুলিশ ফোর্স ও বিজিবি সদস্যরা সেখানে হাতিগুলো পর্যবেক্ষন করছে। হাতিগুলোকে কোন রকম বিরক্ত না করতে স্থানীয়দের অনুরোধ করা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জানান, সীমান্ত এলাকায় বন্য হাতির প্রবেশের বিষয়টি জেলা প্রশাসক, বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি। পুলিশ ও বিজিবি এলাকায় অবস্থান করছে। হাতিগুলোকে বিরক্ত না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে সবার বাড়িতে মশাল জ্বালিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। সবাইকে সচেতন থাকতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়াও হাতিগুলো নিজ থেকে চলে না গেলে সবার সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১৮ নভেম্বর, ২০২১