বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহক থেকে টাকা নিয়ে পণ্য দিতে পারছে না। প্রতারণার অভিযোগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।আবার মালিকদের অনেকে পলাতক রয়েছেন।
এমন এক পরিস্থিতিতে ২৪ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এসব প্রতিষ্ঠানের হিসাব খোলার পরিচিতি, কারা টাকা জমা দিয়েছে ও কারা উত্তোলন করেছে, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদার প্রেক্ষিতে তাদের হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর কর্মকর্তারা।
যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে দারাজ, প্রিয়শপ, ওয়ালমার্ট, ইনফিনিটি মার্কেটিং, অ্যানেক্স ওয়ার্ল্ড, আলিফ ওয়ার্ল্ড, ব্রাইট ক্যাশ, স্বাধীন, শ্রেষ্ঠ ডটকম, আকাশ নীল, গেজেট মার্ট ডটকম, বাংলাদেশ ডিল, অ্যামস বিডি, বাড়ি দোকান ডটকম, সুপম প্রোডাক্ট, টিকটিকি, চলন্তিকা, শপআপ ই-লোন, আস্থার প্রতীক, সানটুন, ইশপ ইন্ডিয়া, বিডি লাইক ও নিউ নাভানা।
অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রির অফার দিয়ে আলোচনায় আসে ইভ্যালিসহ আরও কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল; তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন; ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন; এসপিসি ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল আমীন; তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শারমীন আক্তার; কিউকমের প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়া ও রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
ইবাংলা /টিআর /১৯ নভেম্বর ২০২১