টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মেধা ও সৃজনশীলতাকে ডিজিটাল যুগের প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন ছাড়া আগামী দিনের পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতো বটেই একজন কৃষক, দিনমজুর বা মুদি দোকানীর জন্যও এই দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা মানে কম্পিউটার প্রকৌশলী কিংবা বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু প্রত্যেককেই অন্তত ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার জানতে হবে। নিজেদের তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের বড় সৈনিক।
শনিবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রী কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনলাইনে যুক্ত থেকে রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি অব ই-ক্যাব, মার্কেটিং এন্ড সোস্যাল কমিট অব ই-ক্যাব, একশপ এবং কক্সবাজার ইয়ুথ এন্টারপ্রেনার্স ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক দুদিন ব্যাপি কর্মশালার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের বড় শক্তির নাম মেধাবি তরুণ জনগোষ্ঠী, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত। তাদের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে আগামীর জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সমাজ ব্যবস্থা,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে ডিজিটাল রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হয়েছে। প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল রূপান্তরের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ-জয়-এর দিকনির্দেশনায় আমরা মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ইন্টাননেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সন ৫জি আমরা চালু করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, কোভিডকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠ গ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল সংযোগ থ্রি-জি থেকে ফোর-জিতে উন্নীত করেছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রপুরুষ জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য করার পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে দেশে স্মার্ট ফোন কারখানা গড়ে তুলতে বিনিয়োগকারিদের প্রণোদনাসহ বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করি। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ১৪টি মোবাইল কারখানা গড়ে উঠেছে।
এইসব কারখানা থেকে উৎপাদিত মোবাইল ফোন দেশের চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৩ ভাগ পুরণ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এসব যন্ত্র বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। ২০০৮ সালে যেখানে আট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো সেটি ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ এর ব্যবহার এখন ৩ হাজার জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে।
ইবাংলা / নাঈম/ ২০ নভেম্বর ২০২১