ব্যর্থতার চক্রে বাংলাদেশ।মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হেরে গেল । ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে টাইগারদের হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ৩ ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করল পাকিস্তান। এই হারে ২০২১ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১০৯ রানের টার্গেট অনায়াসেই ৮ উইকেট ও ১১ বল অক্ষত রেখে লক্ষ্য টপকে যায় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ফিরে যান বাবর আজম। তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজের বলে প্লেইড অন হয়ে যান তিনি। ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ হয় ১ উইকেটে ১২ রান।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন ফখর জামান। পাওয়ার প্লে শেষে বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে সফরকারী দলের সংগ্রহ ছিল ২৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের পথে নেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৩ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭৫ রান।
১৬তম ওভারে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে আউট হন ৩৯ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯৭। এরপর সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এর আগে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে চাপে পড়া টাইগাররা ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: সিরিজ বাঁচানোর মিশনে দুপুরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও ব্যাটিং ব্যর্থতা। ২ ওপেনার যথারীতি ব্যর্থ হন। মাঝে আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত একটু আশার আলো দেখান। এই দুজন আউট হলে আর রানটা এগোলোই না বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচের চেয়েও কম রানের সংগ্রহ হয় বাংলাদেশের। আজ শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের পঞ্চম বলে শাহিন আফ্রিদির ডেলিভারিতে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হন সাইফ হাসান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। ২০ রান করেন আফিফ হোসেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে মারতে যেয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২ উইকেটে ৫ রান।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে শাহিন আফ্রিদির থ্রোয়ে পায়ে আঘাত পান আফিফ হোসেন। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর আফিফ হোসেন ও নাজমুল শান্তর ব্যাটে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২ উইকেটে ৩৬ রান।
পাওয়ার প্লের পর নবম ওভারে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। ভরসার সঙ্গে খেলতে থাকা আফিফ হোসেন শাদাব খানের বলে রিভার্স শট খেলতে যেয়ে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়েন। ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৩ উইকেটে ৫১ রান।
১০ ওভারের খেলা শেষে স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশের। ৩ উইকেট হারিয়ে ছয়ের কিছুটা বেশি রানরেট ধরে রেখেছিল স্বাগতিক দল। তখন তাদের সংগ্রহ হয় ৩ উইকেটে ৬৪ রান।
১৩তম ওভারে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ১২ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ককে কট বাহাইন্ডে ফিরান হারিস রাউফ। ১৩ ওভার শেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ হয় ৪ উইকেটে ৮১ রান।
অনেকক্ষণ উইকেটে থাকার পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল শান্ত। শাদাব খানের করা ১৪তম ওভারে ৪০ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৫ উইকেটে ৮৩ রান।
মোহাম্মদ নাওয়াজকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ১৬তম ওভারে ফিরেন মাহেদী হাসান। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৮৮ রান।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ ১৮ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করতে সক্ষম হয়। সে জন্য তাদের খোয়াতে হয় ৬ উইকেট। এরপর আরেকটি উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানে শেষ হয় ২০ ওভারের ব্যাটিং।