কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বৈদ্যুতিক উড়োজাহাজ বানিয়েছে ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস-রয়েস। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে এক সিটের বিমানটি ১৫ মিনিট ধরে যুক্তরাজ্যের আকাশে উড়ল।‘স্পিরিট অব ইনোভেশন’কে বিশ্বের দ্রুততম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিমান দাবি করেছে রোলস-রয়েস।
পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে বিমানটির গতি ঘণ্টায় ৬২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছে। এটি তিনটি ভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক এবং পাইলট ফিল ও’ডেল পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটের সর্বোচ্চ গতি তোলেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং পুরো দলের জন্য এটি একটি অবিশ্বাস্য অর্জন।’সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরিসংখ্যানটি বিশ্ব এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ওয়ারেন ইস্ট বলেন, “আমরা এখন প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জনে মনোনিবেশ করেছি, যা আকাশ, স্থল এবং জলে ভ্রমণকে ‘ডিকার্বোনাইজ’ করতে এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পথে অর্থনৈতিক সুযোগের সদ্ব্যবহারে সমাজের প্রয়োজন।”
বিমানটিতে একটি ৪০০কেডব্লিউ বৈদ্যুতিক পাওয়ারট্রেন ব্যবহার করা হয়েছে- যা একটি ৫৩৫বিএইচপি সুপারকারের সমান। রোল-রয়েস বলেছে, মহাশূন্যে এ পর্যন্ত যুক্ত করা সবচেয়ে শক্তিশালী প্রোপালশন ব্যাটারি প্যাক যুক্ত করেছে, যা দিয়ে এক সঙ্হে সাড়ে সাত হাজার ফোন চার্জ করা সম্ভব।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস-রয়েলস জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি একপর্যায়ে প্রতি ঘণ্টায় তিনশ মাইল গতিতে ছুটতে পারবে। এক আসনের এ উড়োজাহাজে রয়েছে ছয় হাজার সেল ব্যাটারি প্যাক। এর তিন মোটরের পাওয়ারট্রেইন চারশ কিলোওয়াট বিদ্যুৎশক্তি সরবরাহ করতে পারে। নিজেদের উড়োজাহাজকে ‘স্পিরিট অফ ইনোভেশন’ আখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইবাংলা /টিপি /২১ নভেম্বর ২০২১