করোনাভাইরাসের ঊচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশসহ ৬৯টি দেশের তালিকা নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব, শঙ্কায় প্রবাসীরা। বৈশ্বিক মহামারি সংক্রান্ত সূচক অনুযায়ী এ তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় মসজিদে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে সৌদি সরকার। তবে জেদ্দা, রিয়াদ ও মক্কায় এখনো প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে তিন থেকে চার শ’ মানুষ।
বহিঃবিশ্বের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করলেও বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনিত হওয়ায় আবারো কঠোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
এরইমধ্যে করোনার ঊচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকা তৈরি করেছে দেশটি। বৈশ্বিক মহামারি সংক্রান্ত সূচক পর্যালোচনা করে এ তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
৬৯টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের নাম থাকায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের ওপর আবারো ভ্রমণ নিষেধজ্ঞা আরোপের শঙ্কা করছেন তারা।
সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজধানী রিয়াদ, জেদ্দা ও মক্কায় এখনো বাড়ছে সংক্রমণ। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মসজিদগুলোতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫৮৭টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৬.৮৮ মিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সৌদি নাগরিক ও প্রবাসীদের মাঝে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এরইমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিককে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদির সরকার।
দুই ডোজ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে পৃথক দুটি ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। যেটি ইতিমধ্যে ফ্রান্স এবং ডেনমার্কের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে দেওয়া হয়েছে এবং জুলাই থেকে দেশটিতে গণহারে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।