৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করল বাংলাদেশ। শেষ বলে দ্বিতীয় রান নেওয়ার কোনো ইচ্ছা দেখালেন না মেহেদী। অন্য প্রান্তে আমিনুল ইসলাম ঠিকই দুই রানের জন্য দৌড় দিয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন। শেষ বলে তাই আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১২৭, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৮ রানের পর তৃতীয় ম্যাচেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল।
নড়বড়ে ওপেনিং জুটি ভুগিয়েছে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই রেষ এখনও কাটেনি। নাঈম শেখের সঙ্গে পাকিস্তান সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ওপেনিং করেছেন সাইফ হাসান। দুই ম্যাচে ৯ বলে করেছেন ১ রান। বাদ পড়েছেন তৃতীয় ম্যাচে।
সাইফের বদলে ওপেনিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে আনলেও বদলায়নি ভাগ্য। আগের ম্যাচে চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা শান্ত (৫) এদিন সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত পেসার শাহনেওজ দাহানির বলে বোল্ড হয়ে।
এরপর শামিম পাটোয়ারি তিনে ব্যাট করতে এসে ২৩ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন উসমান কাদিরের বলে ক্যাচ দিয়ে। ৭.২ ওভারে দলীয় ৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে থাকা দলকে লিড দিচ্ছেন নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন।
নাঈম কিছুটা ধীর গতিতে রান তুললেও আফিফের ব্যাটে আসছে দ্রুত রান। ১২তম ওভারের প্রথম ও শেষ বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আফিফ। নাঈম-শান্তর জুটি ভাঙে ৪২ বলে ৪৩ রান যোগ করে আফিফের ২০ (২১) রানে বিদায়ে।
এরপর একপাশ আগলে রাখেন নাঈম, সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অর্ধশতকের অনেক কাছে গিয়েও ফুল্টোস বলে ক্যাচ তুলে দেন বোলার ওয়াসিম জুনিয়রের হাতেই।
নাঈম শেখ বিদায় নেন ৪৯ বলে ৪৭ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ২টি করে চার ও ছয়। নুরুল হাসান সোহানও ব্যর্থ হন ৪ রান করে ওয়াসিমের বলে ক্যাচ দিয়ে। সোহানের বিদায়ের পর হারিস রৌফের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও (১৩)। শেষ ৫ ওভারে এসেছে মাত্র ৩৫ রান। শেখ মেহেদীর ৫ ও আমিনুল ইসলামের ৩ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১২৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও উসমান কাদির। ১ উইকেট করে নেন দাহানি ও রৌফ।
ইবাংলা /টিআর /২২ নভেম্বর ২০২১