হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, হিজড়ারা জীনের সন্তান। কোনো এক ব্যক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কীভাবে হতে পারে? জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন যে, মানুষ যেনো তার স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে।
কোনো মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে ও সেই শয়তান দ্বারা ওই মহিলা গর্ববতী হয় এবং হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় ‘খুন্নাস’)। তথ্য: সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান , ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
আরেক হাদিসে হিজরা জন্মের হেকমত উল্লেখ পূর্বক আলোচনা এভাবে এসেছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে একবার জিজ্ঞাসা করা হল, হিজরা কেন জন্ম নেয়? তদুত্তরে ইবনে আব্বাস বললেন, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে স্বামী যদি তার সাথে সহবাস করে, তখন শয়তান ঐ যৌনমিলনে আগে থাকে উক্ত ব্যক্তির সাথে যৌনকার্যে শরিক হয় এবং শয়তানের বীর্য ঐ মহিলার গর্ভে গিয়ে পৌছে,যার ফলে হিজরা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। (ত্বরতুসী-কিতাবু তাহরীমিল ফাওয়াহিশ)
বৈজ্ঞানিকভাবেও দেখা যাচ্ছে হিজড়া সন্তানের সেক্স ক্রোমোজোম প্যাটার্ন XXY, XYY. যেখানে মায়ের থেকে পাওয়া X ও বাবার থেকে পাওয়া Y বা X ক্রোমোজম মিলে মহিলার XX এবং পুরুষের XY সেক্স ক্রোমোজম সৃষ্টি হয়। তাহলে এই অতিরিক্ত Y ক্রোমোজম কার? এই প্রশ্নে তৃতীয় কোনো জ্বীন কিংবা শয়তানকে দায়ী করলে উত্তর সহজেই মিলে যায়।
সুতরাং, হিজড়া সন্তান কেন হয় সেবিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমরা জানলাম। বিজ্ঞান আমাদের কিছু প্রতিকার দিলেও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাতে পারেনি। তবে ইসলাম সুস্পষ্টভাবে প্রতিরোধ সম্পর্কে বর্ণনা করেছে।
ইবাংলা / আমিনুল/ নাঈম/ ২২ নভেম্বর ২০২১