১২২ জন তিন মাসে কালো টাকা সাদা করেছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয় এবারের বাজেটে কয়েকটি খাতে। এর মধ্যে শেয়ারবাজার হচ্ছে অন্যতম একটি খাত। চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে মাত্র একজন ৩০ লাখ টাকা সাদা করেছেন। এর বিনিময়ে সরকারি কোষাগারে কর হিসেবে জমা হয়েছে এক লাখ টাকা।
এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর তিন মাসে ১২২ জন অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করেছেন। তারা মাত্র ১৫ কোটি টাকা সাদা করেছেন। এর বিপরীতে সরকার কর পেয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে প্রযোজ্য করহার এবং তার সঙ্গে ‘অতিরিক্ত’ ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কেউ এই শর্ত মেনে সরকারের দেওয়া এ সুযোগ গ্রহণ করলে এনবিআরসহ অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তার আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবে না।
এর আগের অর্থবছরে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, জমি ক্রয়ে শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঢালাওভাবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নতুন নিয়মে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হলেও শর্ত কঠোর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কালো টাকা সাদা করার এই প্রক্রিয়া একদম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কালো টাকা উপার্জনের সূত্রগুলো কী, কোথা থেকে আসছে এবং কিভাবে আসছে এগুলো বিশ্লেষণ করে সেটার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় ১২ হাজার জন কালো টাকা সাদা করেছেন ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঘোষিত টাকা থেকে সরকার কর পেয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
ইবাংলা / নাঈম/ ২২ নভেম্বর ২০২১