চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার পরও বড় পরাজয়ের পথে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে পাকিস্তানকে ২৯৬ রানে অলআউট করে ৪৪ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।মুমিনুলরা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসের ৪৪ লিডসহ পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২০২ রানের।
টাইগারদের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৯ রান করে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। আর মাত্র ৯৩ রান নিলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে বাবর আজমরা।৫৬ ও ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন আবিদ আলী। প্রথম ইনিংসে তাদের জুটির সংগ্রহ ছিল ১৪৬ রান।
জয়ের জন্য মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) শেষ দিনে পাকিস্তানকে ৯৩ রান করতে হবে। শেষ দিনের সকালে কোনো অঘটন না ঘটলে পাকিস্তানের জয় বলতে গেলে নিশ্চিত।
এর আগে চতুর্থ দিন মাঠে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তান পেসার হাসান আলীর বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ৩৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার ব্যাট হাতে থিতু হয়ে থাকা ইয়াসির আলীর হেলমেটে আঘাত করে। পরে মাঠে ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে খেলা চালিয়ে গেলেও, পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। ৭২ বলে ৬টি চারে ৩৬ রান করেন তিনি।
ইয়াসির উঠে যাওয়ায় পর উইকেটে আসনে মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানের নাম নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি মাঠে ব্যাট ও বল দুটিই করতে পারবেন। সাজিদ খানের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৪ বলে ১১ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে এরপরই ইয়াসির আলীর কনকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন। ৩৩ বলে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি। সোহানের পর বিদায় নেন লিটনও। আফ্রিদির বলে এলবি হয়ে ৮৯ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংস ১৫৭ রানে থামে।
ক্যারিয়ারের চতুর্থবার ৫ উইকেট পাওয়া আফ্রিদি পাকিস্তানের সেরা বোলার। এছাড়া সাজিদ খান ৩টি ও হাসান আলী ২টি উইকেট লাভ করেন।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৯ নভেম্বর, ২০২১