কৃষিপণ্যের আওতায় লবণ চাষিদের ৪ শতাংশ সুদে ৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। প্রত্যেক কৃষককে জামানতবিহীন ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজারে অবস্থিত সরকারি সাতটি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বিসিক।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হলেও চাষিরা এর উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না। বর্তমানে লবণের মূল্য উৎপাদন খরচের প্রায় অনেক কম। এতে দেশীয় কৃষিভিত্তিক লবণ শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।কৃষকরা লবণ চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে। মূলত সেকারণেই কৃষকদের সুবিধার্থে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি কক্সবাজারে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে কক্সবাজারের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রুপালী ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক এবং কর্মসংস্থান ব্যাংক।
বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান প্রেরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, চলতি লবণ মৌসুমে ২৮ হাজার ৭৯১ জন লবণ চাষি ৫৪ হাজার ৬৫৪ একর জমিতে লবণ চাষ করছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের ন্যায় লবণ শিল্পখাতও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, বাস রেকারে দিলেন ইবাংলার সাংবাদিক
সচল লবণ মিল রয়েছে ২৩০টি, ভ্যাকুয়াম ৫টি, ম্যাকানিকেল ৩৫টি, অন্যসব ট্র্যাডিশনাল। সারাদেশে ৮টি লবন জোন রয়েছে। এসব জোনগুলো হচ্ছে, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ,চাঁদপুর, চট্রগ্রাম, পুটিয়া, খুলনা ও ঝালকাঠি।বিসিক এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন ইবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাৎসরিক মোট ২৩ লাখ মেট্রিক টন লবণের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ভোজ্য লবণের চাহিদা ৯ লাখ মেট্রিক টন, শিল্প ও অন্যান্য ১৪ লাখ মেট্রিক টন। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২০২১ থেকে ২২ সালে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিকতর লবণ উৎপাদন হবে।
ইবাংলা / নাঈম/ ১ডিসেম্বর, ২০২১