আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝি সময়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
করোনা পরিস্থিতিতে এবার আট মাস পিছিয়ে আজ (২ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। এসএসসি পরীক্ষাও শেষ হয়েছে মাত্র কিছু দিন আগে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর যে একেবারে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসব পরীক্ষা হচ্ছে, আগামী বছরে এমনটি হবে না। আমরা যেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, আশা রাখছি এবারের চেয়ে অনেক আগে পরীক্ষা হবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করছি, তাতে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকছে না। এ জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার পরও যদি কেউ প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায় বা সেটি চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের টিকা দেওয়া হয়নি বা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে, তাদের পরীক্ষার পর পরই দ্রুত টিকা দেওয়া হবে বলে জানান দীপু মনি।এ ছাড়া এইচএসসির ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এক মাসের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার আভাসও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।তিনি বলেন, ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা চাই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকুক।
‘সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা। তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত আছি’-যোগ করেন দীপু মনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
ইবাংলা / নাঈম/ ২ ডিসেম্বর, ২০২১