নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে বাড়িতে চলাচলের ভাঙা রাস্তা ভরাট করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে জবাইদুল ইসলাম (৫০) নামে এক ভ্যানচালক মারা গেছেন।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে দুইজন আসামি করে বদলগাছি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। নিহত জবাইদুল ইসলাম দুর্গাপুর (শুরকালী) গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
জানা গেছে, ভ্যানচালক জবাইদুল ইসলামের বাড়ির চলাচলের মাটির রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে তার ভ্যান বাড়িতে নিয়ে যেতে অসুবিধা হচ্ছিল। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জবাইদুল ইসলাম তার বাড়ির সামনে ভাঙা রাস্তাটি মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করছিলেন।
এসময় তার চাচা আব্দুল খালেক সেখানে গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটতে বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক ও তার ছেলে বেলাল হোসেন ভ্যানচালক জবাইদুলকে মারপিট করে গাছে ঠেস দিয়ে তার গলা চেপে ধরে। এতে জবাইদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে জবাইদুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রুত জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার আগে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বলেন, ভাঙা রাস্তা ভরাট করার কারণে আমার বাবাকে মারপিট ও গলার চেপে ধরা হয়েছিল। এতে আমার অসুস্থ হন। জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমার বাবাকে যারা হত্যা করল তাদের ফাঁসি দাবি করছি।
বদলগাছি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রায়হান হোসেন বলেন, ভাঙা রাস্তা ভরাটের সময় প্রতিপক্ষকে মারপিটে ভ্যান চালক জবাইদুল ইসলাম আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ইবাংলা /টিআর /৪ ডিসেম্বর ২০২১