বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা । বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামির ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আমরা আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি । এই রায়ের মাধ্যমে আবরারের মতো আর কোনো শিক্ষার্থীকে যেন নির্যাতন করা না হয় সে বিষয়ে এক হুশিয়ারি।
তিনি বলেন, অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে অবশ্যই শাস্তি হবে। আদালতের এই রায়ে তা প্রমাণ হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে আবরারের বাবা-মাসহ সারা দেশের মানুষ যেভাবে ব্যথিত হয়েছিল, রায়ের মাধ্যমে তা সমাপ্ত হয়েছে।
এর আগে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়। মামলার বাকি তিন আসামি পলাতক।
আরও পড়ুন: রায় ঘোষণার পর নিরব ছিলেন আসামিরা
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয় জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন তিনজন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ২১টি আলামত ও আটটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
ইবাংলা / টিপি/ ৮ ডিসেম্বর, ২০২১