আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারিভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রতিবছর বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করে। দুদক ২০০৭ সালে দিবসটি পালন শুরু করে
বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্নীতিবিরোধী অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করেছে দুদক। সেমিনারে এবারের প্রাতিপাদ্য বিষয় ‘শুদ্ধাচারই পুনরুদ্ধার’।
দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির মাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে জন-আকাক্সক্ষা অনুসারে হয়তো কমেনি। তবে দুর্নীতি দমনে কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো মোটামুটি প্রশংসিত হচ্ছে। দুদক গত পাঁচ বছরে তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে। এজন্যই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর ফলও পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে কমিশনের মামলার সাজার হার ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে এটা ছিল ৬৮ শতাংশ। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে সাজার হার প্রায় ৭৭ শতাংশ। দুদকের মামলায় একসময় সাজার হার ২০ শতাংশে নেমেছিল। আমাদের সবার সমন্বিত উদ্যোগেই মামলায় সাজার হার ক্রমাগত বাড়ছে। কমিশন চায় শতভাগ মামলায় আসামিদের সাজা হোক। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ডে দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমেছে। করোনাকালে ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে দুদক। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুদকের প্রতি প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে।
দুর্নীতি থামাও, জীবন বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্যে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর দিবসটি উদযাপন করছে টিআইবি। করোনা অতিমারীর আর্থসামাজিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য খাতসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ ঘোষিত রাজনৈতিক অঙ্গীকার-এর কার্যকর বাস্তবায়ন দেখতে চায় দুর্নীতিবিরোধী এ প্রতিষ্ঠানটি।
ইবাংলা / টিপি /৯ ডিসেম্বর, ২০২১