আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মদিন । ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে তার জন্ম। দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। জীবনের বড় অংশই তিনি কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন।
আজীবন শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন মওলানা ভাসানী। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়। ১৯৩১ সালে সন্তোষের কাগমারী, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলা এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি।ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ করেও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
দূরদর্শী এ রাজনীতিবিদ ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অগ্রনায়ক। কংগ্রেসের মাধ্যমে রাজনীতির সূচনা হলেও ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে মুসলিম লীগে যোগ দেন তিনি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালে তিনিসহ অন্যদের প্রচেষ্টায় আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়, যা ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। তবে মতবিরোধের কারণে মওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ নামে আলাদা দল গঠন করেন।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ইবাংলা /টিপি/১২ ডিসেম্বর ২০২১