দেশে ১৭৩ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার চারটি রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক) বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। যখন প্রয়োজন হবে, তখনই এসব কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। অন্যথায় এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘স্ট্যান্ডবাই’ থাকবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, নতুন মেয়াদে বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য আগের চেয়ে কমবে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্ব) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মেয়াদ বাড়ানো চার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- সিলেটের কুমারগাঁওয়ের ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ এক বছর, ফেঞ্চুগঞ্জের ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর, বগুড়ার ২০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর এবং আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ কিনলে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখলে, অর্থাৎ কোনো বিদ্যুৎ না কিনলে অর্থও দিতে হবে না।
বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয় সরকার। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এই আইন করা হয়। পরে কয়েক দফায় সেই সময় বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে আইনটির মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধিতে সংসদে বিল পাস হয়।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১