গো-খাদ্য লালি ও বিষাক্ত রং মিশিয়ে তৈরী হচ্ছে গুড়
আমিনুল ইসলাম
শীতের শুরুতেই ভেজাল ও বিষাক্ত আখের গুড়ে বাজার সয়লাব। সাভারের নামা বাজার, আশুলিয়া, দিনাজপুর, নারায়নগন্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে বিষাক্ত খেজুর ও আখের গুড়। নকল ও ভেজালের ভিরে আসল গুড় চেনা বড়ই কষ্টকর। সাভারের নামা বাজার এলাকায় রাতের আধারে গো-খাদ্য লালি বিষাক্ত রং, আটা ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে খাবার গুড়। এসব বিষাক্ত গুড়ের পিঠাপুলি ও নানা রকম সুস্বাদু খাবার খেয়ে অনেকেই পেটের রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এসব গুড় দেশের প্রত্যন্ত এলাকার হাট-বাজারে বিক্রির জন্য ছড়িয়ে পড়ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তুলেছে এসব গুড় তৈরির কারখানা। স্থানীয়দের অভিযোগ থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই তৈরী করে ভেজাল গুড় । আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারী না থাকায় প্রকাশ্যেই নাম মাত্র খেজুর ও আখের গুড় তৈরী করছে ।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। শীতকাল তার মধ্যে অন্যতম। শীতকালে নতুন ধান ওঠে। সেই ধানে ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর উৎসব শুরু হয়। নতুন চালের গুড়ো আর খেজুর রসের গুড় দিয়ে বানানো হয় নানা রকম পিঠা। নানান তাদের নাম, নানান তাদের রূপের বাহার। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, আরও হরেক রকম পিঠা তৈরি হয় বাংলার ঘরে ঘরে। পায়েস, ক্ষীর ইত্যাদি মুখরোচক খাবার আমাদের রসনাকে তৃপ্ত করে শীতকালে।
এ সময় শহর থেকে অনেকে গ্রামে যায় পিঠা খেতে। তখন গ্রামাঞ্চলের বাড়িগুলো নতুন অতিথিদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। শীতের সকালে চুলোর পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামের মতো শহরে শীতের পিঠা সেরকম তৈরি হয় না। তবে শহরের রাস্তাঘাটে শীতকালে ভাপা ও চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া অনেক বড় বড় হোটেলে পিঠা উৎসব হয়। পিঠা বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান।
এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে গো-খাদ্যলালী বিষাক্ত রং,আটা, ময়দা ওচিনি দিয়ে তৈরি করছে বিষাক্ত গুড়। যাদের দেখভালো করার কথা তারা নিরব থাকায় দিন দিন অসাধু ব্যকসাযীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইবাংলা / টিআর /৫ জানুয়ারী