মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষিকার নামে অনিয়মের অভিযোগ
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষিকার নামে স্কুল ফাকি দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাংবাদিকরা ১৪২ নং মাটি ভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের কথা জানতে পারে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ফারহানা আক্তার প্রায়ই স্কুলে দেরি করে যান এবং মাঝে মাঝে স্কুলে না গিয়েও পরের দিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, প্রধান শিক্ষিকা চরমুগরিয়া ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাবস্থায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মেরে আহত করেন। তারপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাকে কোনো শাস্তি না দিয়ে প্রথমে ২ মাস মেডিকেল ছুটি ও পরে স্কুলে জোগদান না করিয়েই ঘরে বসিয়েই বেতন দিতে থাকেন। এর পরে তাকে শাস্তি না দিয়ে বিএড প্রশিক্ষণে পাঠিয়ে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। পরবর্তীতে ঊউর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরে গত ১৫ মার্চ-২০২০ খ্রিঃ ফারহানা আক্তারকে প্রশাসনিক বদলী করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ডিজি অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সখ্যতা থাকায় তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয় প্রশাসন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার রহস্যজনক কারণেই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে অনেকের ধারনা। শুধু তাই তাই নয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন।
স্কুলের পাশের বাসিন্দা মনির ঢালী ও ভ্যান চালক বাদল খান বলেন ম্যাডাম সবসময় স্কুলে আসেননা। মাঝে মাঝে আসেন এবং তারাতারি চলে যান। আপনারা কিছু বলেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, যারা বলতে পারে তারাই কিছু বলে না, আর আমরা কি বলব?
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আমার স্কুলে কার অনুমতি নিয়ে আসছেন? আমার স্কুলে আসতে হলে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। তিনি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানাবেন বলেও সাংবাদিকদের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী অফিসার মসিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাশিদা খাতুন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মোবাইলে বলেন তারা বিষয়টি দেখবেন।
ইবাংলা /এইচ/ ১৫ জানুয়ারি, ২০২২