রাসূল (সা.) তার সাহাবিদের মানবজীবনে প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ, কোন বিষয় কীভাবে করতে হবে এবং কেমন হওয়া উচিত, তার সবকিছু তিনি জানিয়েছেন। রাসূল (সা.) তার প্রিয় সাহাবিদের ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ, প্রত্যেক বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। তার প্রতিটি কর্ম ও পদক্ষেপ মানবতার অনুসরণযোগ্য। তার কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করলে মুমিনের জীবনে বয়ে যাবে প্রশান্তির ফল্গুধারা। রাসূল (সা.) কীভাবে খাবার খেতেন এবং খাবার গ্রহণে তার কী কী সুন্নত ও পদ্ধতি ছিল সে সম্পর্কে হাদিসের প্রচুর আলোচনা এসেছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে খাবারের আগের তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
খাবার গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা: রাসূল (সা.) খাবার গ্রহণের আগে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন। তার সঙ্গীদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ও ডান হাত দ্বারা খানা খাও এবং তোমার দিক হতে খাও। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৩)
হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। অনুরূপভাবে খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়া সুন্নত। এটা আবশ্যকও বটে। রাসূল (সা.) খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার আদেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) পানাহারের ইচ্ছে করলে, তার উভয় হাত ধুয়ে নিতেন। এরপর খাবার গ্রহণ করতেন কিংবা পান করতেন। (নাসায়ি, হাদিস : ২৬৭; বুখারি, হাদিস : ২৮৮; মুসলিম, হাদিস : ৩০৫; আবু দাউদ, হাদিস : ২২২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৮৪; আহমাদ, হাদিস : ২৪০৮৩)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) খাওয়ার পর কুলি করতেন এবং হাত ধৌত করতেন। (মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে মাজাহ)
দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খাওয়া: খাবার খাওয়ার সময় দস্তারখান বিছানো আভিজাত্য। এটা আমাদের নবী কারিম (সা.)-এর সুন্নতও বটে। আনাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল (সা.) পায়াবিশিষ্ট বড় পাত্রে খাবার খেতেন না। কাতাদা (রা.) কে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কীসের ওপর খানা খেতেন? তিনি বললেন, ‘চামড়ার দস্তরখানের ওপর।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৮৬)
ইবাংলা/ নাঈম/ ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২