সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলা, ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন র্যাব-১০এর কর্মকর্তার যোগসাজশে গভীর রাতের মুখে নিরবকে জিম্মি করেন। পরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিরবের পরিবার।
সোমবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
এ সময় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা সাংবাদিক মোহাম্মদ আমানুল্লাহ খান নিবিড় কে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তার পরিবার।
নিরবের স্ত্রীর বলেন, মাদকের ডিলার ফাহাদ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে ফাহাদ তার স্বামীর কাছে টাকা দাবি করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমন ভয় ভীতি প্রদর্শনের পরে আমার স্বামী ফাহাদ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ওয়ারী বিভাগের ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের আশ্বাসে মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একটি জিডি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে নিরব চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদক সিন্ডিকেটের লোকজনসহ র্যাব আমার বাসায় আসে। তারা প্রথমে এলাকারই আর্ট শিল্পী শহিদুল ইসলামের দিয়ে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমার স্বামীকে ফোন করেন। পরে বলে নিরব ভাই বিপদে পড়ে এসেছি, একটু বাইরে আসেন কথা আছে। একথা শুনে নিরব বাইরে গেলে দেখে যাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন সেসব আসামিসহ র্যাবের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। নিরব নিচের কেচি গেট না খুলে উপরে চলে। পরে বাসা মালিকের সহায়তায় কেচি গেট খুলে আমার বাসায় প্রবেশ করে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়।
এছাড়া বাসা মালিক তাদের পরিচয় জানতে চাইলে প্রশাসনের লোকজন বলে পরিচয় দেন। আর বলে আপনার বাড়িতে সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে তাকে ধরার জন্য এসেছি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফরমান উল্লাহ খান নিরব নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।
নিরবের স্ত্রীর বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার সময় সিসিটিভির ফুটেজ কর্মকর্তা আব্দুল হালিম ও অন্যদের মোবাইল কল লিস্টে ফরহাদ সিন্ডিকেটের মোবাইল কল লিস্ট প্রত্যক্ষ সাক্ষী সহ আনুষঙ্গিক বিষয় গুলো নিয়ে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এছাড়া আমার স্বামী যদি প্রকৃত অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাকে যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয় এবং নিরপরাধ হলে তাকে যেন অতিসত্বর আমার সন্তানের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ইবাংলা/ এইচ/ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২