বরগুনার বেতাগী উপজেলা অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ঠিকদারদের পে-অর্ডারের টাকা অবমুক্ত হওয়ার পূর্বেই দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলন করলেন ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা তাদের জমাকৃত টাকা ফিরে পেতে ও ম্যানেজারের বিচারের দাবিতে ডিজিএম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এতে স্থানীয় ঠিকাদাররা এ নিয়ে হতাশও প্রকাশ করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেতাগী পৌর শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিকদার কনষ্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম পিন্টু। তিনি ২০১৯ সাল থেকে দরপত্র আইডি নম্বর ৩৫৮২৪১ এর অনুকুলে ৫৪৮২৪৬৬ নম্বর পে-অর্ডারে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, গত ০১/০৩/২০২০ তারিখে দরপত্রের আইডি নম্বর ৩৭৬০৬২ এর অনুকূলে ৫৪৮২৭৬০ নম্বর পে-অর্ডারে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গত ২৬/০৭/২০২০ তারিখে দরপত্রের আইডি নম্বর ৩৯৪৭০৫ এর অনুকূলে ৫৪৮৫২৪৩ নম্বর পে-অর্ডারে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও গত ২২/১০/২০২০ তারিখে দরপত্রের আইডি নম্বর ৪২৬৫৫১ এর অনুকূলে ৫৪৮৫৫৮০ নম্বর পে-অর্ডারে ৬ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা সর্বমোট ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. খলিলুর রহমান খান গত ২৭/০৭/২০২০ তারিখে দরপত্রের আইডি নম্বর ৩৯৪৭০৪ এর অনুকূলে ৫৪৮৫২৫০ নম্বর পে-অর্ডারে ৫ লাখ টাকা ও গত ২২/১০/২০২০ তারিখে দরপত্রের আইডি নম্বর ৪২৬৫৫২ এর অনুকূলে ৫৪৮৫৫৭৯ নম্বর পে-অর্ডারে ৪ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকাসহ মোট ৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করেন অগ্রণী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম।
এ বিষয়ে মেসার্স সিকদার কনষ্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম পিন্টু জানান, গত ০৯/০২/২০২২ খ্রি. তারিখ আমার অগ্রণী ব্যাংকের পে-অর্ডারের টাকা উত্তোলন করতে গেলে দেখা যায় টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। হিসাব নম্বরে কোনো টাকা নেই। এ বিষয়ে ডেপুটি ব্যাবস্থাপক বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারা তিন কার্যদিবসের সময়ও চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তিন কার্যদিবসের সময় টাকা জমা না পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মো. শাহ আলম গত ২৯/০৭/২০১৯ তারিখে বেতাগী শাখায় যোগদান করেন। তিনি যথা সময় টাকা জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়, এ ঘটনায় তদন্ত চলমানও রয়েছেন।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম আশুতোষ চন্দ্র সিকদার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, ব্যবস্থাপক দোষী প্রমানিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/ এইচ/ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২