পশ্চিমা বিশ্ব থেকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে আলেক্সান্ডার নোভাকের এমন হুঁশিয়ারির কথা জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার তেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে রাশিয়া বিশ্ববাজারে বিপর্যয়কর এক পরিণতি ডেকে আনবে। প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম তখন ৩০০ মার্কিন ডলারেরও দ্বিগুণ হতে পারে।
রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করছে এমন তথ্য জানা যায়। এই খবরের পরই বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যায়। এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৩৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়।
রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে এবার তার পাল্টা জবাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়ার তেল সরবরাহ ব্যাহত হলে ইউরোপীয় বাজারে দ্রুত রাশিয়ার তেলের বিকল্প খুঁজে পাবে না কেউ। এটি (রাশিয়ার তেলের বিকল্প) খুঁজে পেতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে এবং খুঁজে পেলেও ইউরোপীয় ক্রেতাদের জন্য অনেক ব্যয়বহুলও হবে সেই তেল। নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
এদিকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে আলোচনা করলেও জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস প্রথমেই এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপেীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার চাহিদার মোট গ্যাসের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং মোট তেলের ৩০ শতাংশ পেয়ে থাকে শুধু রাশিয়ার কাছ থেকেই। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বা কোনো কারণে রাশিয়ার এই তেল-গ্যাস সরবরাহ বন্ধ বা ব্যাহত হলে ইউরোপের দেশগুলোর সামনে এর কোনো বিকল্প খুঁজে বের করা প্রায় অসাধ্য হবে।।
ইবাংলা/ টিপি/ ৮ মার্চ ২০২২