- অতিরিক্ত ওজন দেহে অনেক সমস্যা ডেকে আনতে পারে । অনেকেই ওজন কমাতে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করেন এবং মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা শুরু করেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খালি হাতেই সপ্তাহে গড়ে অন্তত ২৭৫ মিনিট শরীরচর্চা করলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে তার পাশাপাশি, জীবনধারায় আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।
- ওজনের ভারসাম্য না থাকার পেছনে কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হলো সঠিক খাবার সময়মতো না খাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টার বিরতিতে পাঁচ থেকে ছয়বার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। ওজন কমানোর জন্য বিপাক প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য থাকা অত্যন্ত জরুরি।
- গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বিএমআই বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
- প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত ‘প্রিজারভেটিভ’ ওজন বৃদ্ধি করে ও অন্যান্য নানা রকমের অসুখ ডেকে আনে। তাই ওজন কমাতে চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
- দীর্ঘস্থায়ী মানসিক উদ্বেগ অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ডেকে আনে স্থূলতাও। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় খাওয়াদাওয়ার উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এগুলো ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
- অফিসের চাপ কিংবা বাড়ির কাজের মধ্যে শরীরচর্চা করার জন্য সময় বার করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করার সময় পান না তাদের দৈনন্দিন কাজের মধ্য দিয়েই শরীরকে সচল রাখতে হবে। চলমান সিঁড়ি কিংবা লিফটের বদলে সাধারণ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা, কাছাকাছি স্থানে পায়ে হেঁটে যাওয়া, চেয়ারে বসে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে মিনিট খানেক হেঁটে নেওয়া কার্যকরী হতে পারে।
- ইবাংলা/জেএন/১০মার্চ২০২২