ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে তার রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেও সতর্ক করেন বাইডেন।
সোমবার (২১ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাইডেন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়া নতুন কোনও অজুহাত প্রস্তুত করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা (রাশিয়া) আরও বলছে-ইউক্রেনের জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। এটি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত, তিনি (রাশিয়া) এই দুটি ব্যবহার করার বিষয়ে বিবেচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের কাছে জীবাণু অস্ত্র থাকার মিথ্যা দাবি করে এ ধরনের অস্ত্র দেশটির ওপর ব্যবহার করার পূর্বাভাস দিচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে।
ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া।
ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইবাংলা /জেএন /২২ মার্চ ২০২২