বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মমিনুল হক বলেন, ‘মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন নীলফামারী, ডোমারসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দাম।’
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে দেশি কাঁচামরিচের দাম। কেজি প্রতি ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার ( ২৪ মার্চ) হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। কাঁচামরিচের দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে। দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলির কাঁচাবাজার করতে আসা মাজহারুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের বাজারে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। তবে কাঁচামরিচের বাজারে তেমন কোন স্বস্তি ফেরেনি। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে। আগে যেমন ২০ থেকে ২৫ টাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল। সেই দামে যদি এখন বিক্রি হতো তবে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। বাংলাদেশ সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে হিলির বাজারে এখনো তার তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।
তিনি আরও বলেন, বোতল জাতের সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা দামে বিক্রি হলেও খোলা সয়াবিন তেল ১৪৮ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। সামনে রমজান মাস সরকার যদি এখনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। গত সপ্তাহের থেকে ৩০ টাকা দাম কমেছে। প্রতি দিন একটু একটু করে দাম কমছে। আগামীতে আরও দাম কমতে পারে।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৪মার্চ, ২০২২