ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। শনিবার (৭ মে) সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের কর্মস্থলমুখো যাত্রী চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী চাপও বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে আসেন। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলীয়াগামী প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোটই ছিল যাত্রীতে ভরপুর।
শনিবার (৭ মে), সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলমুখো যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলীয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চ ও স্পীডবোট ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। লোডমার্ক অনুযায়ী লঞ্চগুলো যাত্রী পারাপার করছে আর স্পীডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ রুটে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া, কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়াসহ ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিএ।
ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যানবাহন, কাঁচামালবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। তবে সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক যানবাহনের লাইন সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরমে দীর্ঘসময় ঘাটে আটকে থেকে নারী, শিশুসহ যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
খুলনা থেকে আসা যাত্রী রুবাইদ হোসেন বলেন, ‘আমার বাইকের ভাড়া ৭০ টাকা অথচ নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। রিসিট কিন্তু ৭০ টাকাই দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমার কাছে অস্পষ্ট। এছাড়া প্রচুর গরমে হাঁপিয়ে উঠেছি। ঢাকা যেতে পারলে হয়ত শরীরে জ্বর চলে আসবে। তারপরেও যেতে হবে, কারণ কাল থেকে অফিস শুরু।’
লঞ্চ ঘাটে শাহালম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। মনে হয় ঠেসেঠেসে যাত্রী তুলছে। কিন্তু কেউ দেখার নেই। ঘাটে যারা আছে, তারা কিছুই করে না। দাড়িয়ে দাড়িয়ে খালি বাঁশি ফুঁকায়। আমরা লঞ্চ-মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি। এখন ঢাকা যেতে পারলেই হলো।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ রুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরী গাড়ি ও কাঁচামালবাহি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সকল গাড়িই পারাপার করছি। ঘাটে আমাদের সকল স্টাফ দায়িত্ব পালন করছে। আমিও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘাটে রয়েছি।
এদিকে যানবাহনের চাপে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৯ কিলোমিটার এলাকার সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। শুক্রবার (৬ মে) রাতে এসে এখনও ফেরির দেখা পাননি যাত্রীরা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিরিয়ালে আটকে থাকা যাত্রী ও চালকরা।
শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের জিরোপয়েন্ট থেকে প্রায় ৯ কিলোমমিটার সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
ইবাংলা/ এসআর / ০৭ মে, ২০২২