তীব্র নদী ভাঙনে দিশেহারা কাজিপুর ও চৌহালীর মানুষ
সিরাজগঞ্জ (কাজিপুর) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের এক লাখেরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে নদী তীরবর্তী কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলায় চলছে তীব্র নদী ভাঙন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর পানি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ ইবাংলাকে জানান, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯৪ মিটার। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টায় এই পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৪ দশমিক ২ মিটার। যমুনায় ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৮ সেন্টিমিটার।
জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার অন্তত ৪০টি ইউনিয়নের এক লাখেরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘড়-বাড়ি রাস্তা-ঘাটে পানি উঠে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বানভাসিরা।
এদিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলায় তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন। প্রতিদিনই এই দুটি উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ও বাগুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও হাট-বাজার।
ইই