টাঙ্গাই‌লে নদ নদীর পা‌নি বৃদ্ধিতে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি

টাঙ্গাই‌ল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাই‌লে বিভিন্ন নদ নদীর পা‌নি বৃদ্ধির কারনে জেলার ৬ টি উপজেলার দুইশতাধিক গ্রামের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

যমুনা, ধ‌লেশ্বরী, ঝিনাইসহ সকল নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বানের স্রোতে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ ভেঙে যাতায়াতে বেড়েছে দুর্ভোগ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গেল ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পা‌নি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সে‌ন্টি‌মিটার, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দি‌য়ে প্রবা‌হিত হ‌চ্ছে। এছাড়াও বংশাই লৌহজংসহ সকল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

অসম‌য়ের বন্যা দেখা দেয়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভুঞাপুর, কা‌লিহাতী, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাই‌লের নিম্নাঞ্চ‌লে পানি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। এ‌তে আবাদ নষ্ট হওয়ার পাশাপা‌শি ত‌লি‌য়ে গে‌ছে পাঁচ শতাধিক হেক্টর ফসলি জ‌মি। পা‌নিবন্দি দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জেলা পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যমুনা নদী ধলেশ্বরীসহ অন‌্যান‌্য নদী‌তে ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। প্রায় ৮০ কি‌লো‌মিটার অং‌শে নদী‌তে ভাঙন শুরু হ‌য়ে‌ছে। বন‌্যা প‌রি‌স্থি‌তির উন্ন‌তি হ‌লে ভাঙন নিরুপ‌নে কাজ শুরু করা হ‌বে।

এক সপ্তাহে যমুনা নদীসহ বি‌ভিন্ন নদী‌তে পা‌নি আ‌রো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ‌তে বন‌্যার প‌রিস্থি‌তি আ‌রো অবন‌তি হ‌বে।

এদিকে, জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হচ্ছে।

ইবাংলা / ৬ সেপ্টেম্বর

Contact Us