সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের তৈরি জলসেচ অবকাঠামো, দৃঢ় জলাধার, পাহাড়ি ঢল দুর্যোগ প্রতিরোধব্যবস্থা, পূর্বাভাস ও বৈজ্ঞানিক বিন্যাসসহ বিভিন্ন পদ্ধতি চীনের বন্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জলসেচ প্রকল্প নদ-নদীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ভিত্তি:বর্তমান চীনে ৯৮ হাজারটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের জলাধার তৈরি হয়েছে। এসব জলাধারে ডাইকের দৈর্ঘ্য ৪.৩ লাখ কিলোমিটার। ১১ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মাঝারি ও ছোট নদীর অববাহিকা পরিচালনা করা হয়েছে।
চীনের সাতটি প্রধান নদীর অববাহিকায় ডাইক, জলাধার এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ এলাকা-কেন্দ্রিক বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন পূর্বসতর্কতা ও তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা আরো পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর বৃহত্তম বন্যা প্রতিরোধের দক্ষতা তৈরি করেছে চীন।
মানুষকে কেন্দ্র করে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেওয়া:যদি বলি, বড়-ছোট জলাধার হল বন্যা প্রতিরোধের ‘লৌহ জেনারেল’। আর সুদৃঢ় ডাইক হল- জননিরাপত্তা রক্ষাকারী ‘নৌ-মহাপ্রাচীর’।
প্রত্যেক বন্যার সময় চীনের বিভিন্ন জায়গা ডাইক টহল এবং তত্ত্বাবধানকাজ জোরদার করে। নিবিড় বৃষ্টি এবং বন্যার অবস্থা মনিটর করে। যেখানে সহজেই বন্যা দেখা দেয়, জনসংখ্যা বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ নদীর অববাহিকা এলাকাকে প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তা ছাড়া চীনের অনেক জায়গা প্রাকৃতিক সভ্যতা নির্মাণ কাজ জোরদার করছে। এর মাধ্যমে ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করা গেছে। যেখানে মানবজাতি বেশি পানি ব্যবহার করে, সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি মোকাবিলা করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে নদ-নদীগুলো মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়ে উঠছে।
সময়মত পূর্বাভাস, জনগণকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা:বন্যার সময় পাহাড়ি ঢল, ভূমিধসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে। এতে জনগণের প্রাণ ও স্বার্থের নিরাপত্তা, সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট প্রভাব পড়েছে।
মুষলধারে বৃষ্টি মোকাবিলায় চীনের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন মাত্রার প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন- মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা, নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা, ভূগর্ভস্থ টানেল বন্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে মুষলধারে বৃষ্টির ক্ষতি মোকাবিলা করা যায়। ঝুঁকি তৈরি হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ইবাংলা/বায়েজীদ/১৩জুলাই,২০২২