পরীক্ষামূলক ভাবে ৫-১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু

ইবাংলা প্রতিবেদন

আজ বৃহস্পতিবার রোজ ১০ আগস্ট (৫ থেকে ১১) বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে । রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।৩০ জুলাই রোজ শনিবার করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে ।

ঐ দিন ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। এপ্রিল মাসেই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। বাংলাদেশে এই বয়সী শিশুদের অনুমিত সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।

আরও পড়ুন…অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা কণ্ঠরোধের অপপ্রয়াস:টিআইবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে পূর্ণাঙ্গভাবে শিশুদের টিকা দেওয়ার কাজ চলবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে এ মাসের শেষ সপ্তাহে। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা প্রয়োগ করা হবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৩০ লাখ টিকা আছে।

আশা করছি এ মাসের শেষে এক কোটি ডোজ টিকা চলে আসবে।’এই পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন। বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। দেশে তারপর থেকে এখন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন…রাজধানীতে নারী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার আবাসিক হোটেল থেকে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছে ২৩ শতাংশ ।

ইবাংলা/তরা/১১আগস্ট,২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us